দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা তার পদত্যাগের দাবি ‘অসংবিধানিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংলাপের পথ খোলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী বিরোধী নেতা সুথেপ থাওগসুবান ইংলাককে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুইদিন সময় বেঁধে দেন।

প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সময়সীমা বেঁধে দেন সুথেপ। সেনা পৃষ্ঠপোষকতায় ওই বৈঠকে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়নি বলে জানান সুথেপ।

তিনি আরও জানান, তিন বাহিনীর প্রধানের উপস্থিতিতে এক অজ্ঞাত স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ওই বৈঠক হয়।

এদিকে, সোমবারও বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাইরে বিক্ষোভ করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে নয় দিন ধরে আন্দোলন চলছে। এ সময় বিক্ষোভ চলাকালে চারজন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন।

এদিকে থাইল্যান্ডের বিক্ষোভকারীরা রবিবার দিনটিকে ‘ভি-ডে’ বা ভিক্টোরি ডে উল্লেখ এই আন্দোলনকে ‘জনগণের ক্যু’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

তারা বলছেন, ইংলাকের সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে তার ভাই নির্বাসিত থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এজন্য তারা এই সরকারের পরিবর্তে ‘পিপলস কাউন্সিল’ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থনের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে থাকসিনের বিরোধীরা ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১০ সালে তার সমর্থকরা দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে পুরো ব্যাংকক শহর অচল করে দেয়।

সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়। দুই মাসব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। সূত্র: বিবিসি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/জেএম/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)