ঢাকা থেকেই মনোনয়ন দাখিল জাপা নেতাদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকাতে অবস্থান করেই প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সারাদেশে দশম জাতীয় সংসদের মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।
শুধু নেতারাই নন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও রংপুর-৩ লালমনিরহাট-১ ও ঢাকায়- ১৭ আসনের জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়ায় জাপার বেশিরভাগ নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নন। নেতাদের এমন অনাগ্রহ বুঝতে পেরেই রবিবার এরশাদের নির্দেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য সোহেল রানার নেতৃত্বে মনোনয়ন দাখিলের সময় ১০ দিন বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিলো। নির্বাচন কমিশন জাপার অনুরোধ না রাখায় নেতারা হতাশা ও আতঙ্কে ভুগছেন।
জাপা নেতাদের আতঙ্কে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এরশাদের প্রেস এ- পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আতঙ্ক তো আছেই। যেভাবে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। আতঙ্কে না থেকে তো উপায় নেই।’
তিনি জানান, ‘আমাদের বলা হয়েছিল নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হবে কিন্তু কি কারণে বাড়ানো হলো না জানি না। সময়সীমা বাড়ানো হলে অন্তত এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতো না।’
জাপার মনোনয়ন পাওয়া অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য এলাকায় যাননি। প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বেসামরিক বিমানমন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদারও পটুয়াখালি-১ আসনের জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এরশাদের প্রেস এ- পলিটিক্যাল সেক্রেটারি ও খুলনা থেকে জাপার প্রার্থী সুনীল শুভরায় দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘আমরা ভেবেছিলাম জাপা নির্বাচনে আসলে অন্য দলগুলোও নির্বাচনে আসবে। কিন্তু তা হয়নি। পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন আমরা উনার সন্তান। স্যার আমাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন না। তাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিরাপদ নির্বাচন না হলে সে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনে হয় অংশ নিবে না। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রার্থীরা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হয়েছে বলে মনে করছে না।’
প্রসঙ্গত ২৯ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তার পূর্বেকার সংসদীয় আসন কিশোরগঞ্জ-৪ এ জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কোন প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এই নির্বাচন উপলক্ষ্যে জাতীয় পার্টির মনোনয়নের জন্য এক হাজার ৪৯৮জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। এর মধ্য থেকে ২৯৯ আসনের প্রার্থী বাছাই করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/ সাআ/এমডি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)