দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যোগ্য দল হিসেবেই ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে টিম বিজেএমসি। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে তারা টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেলকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র ছিল।

কোয়ার্টার ফাইনালের খেলায় দুদলই প্রাণবন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে দর্শকদের। প্রথমার্ধে বিজেএমসির গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরার হেড ঠেকিয়ে দিয়েছেন রাসেলের গোলরক্ষক বিপ্লব। ২১ মিনিটে এগিয়ে যায় বিজেএমসি। শাকিলের ক্রস থেকে মিথুনের হেড বিজেএমসির ডিফেন্ডার সাইফুলের পায়ে লেগে জালে জড়িয়েছে। ৩০ মিনিটে বিজেএমসির বাঙ্গুরাকে বক্সের ভেতর অবৈধভাবে ফেলে দিলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে সহজেই গোল করেছেন বিজেএমসির ক্যামেরুনের খেলোয়াড় ইকাঙ্গা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুদল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের কৌশলে খেলেছে। ৫৭ মিনিটে রাসেলের ফরাসি মিডফিল্ডার ম্যাক্সিম রজারকে বিজেএমসির গোলরক্ষক হিমেল অবৈধভাবে বাধা দিলে রাসেলকে পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারি।স্পট থেকে গোল করেছেন রাসেলের উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ফ্রান্সিসকো উসকার। ৭২ মিনিটে কর্নার থেকে মাথা ছুঁয়ে গোল করে বিজেএমসিকে সমতায় ফিরিয়েছেন ইসমাইল বাঙ্গুরা। বাকি সময় অমীমাংসিত থাকায় খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।এই সময়েরও কোনো ফলাফল না হওয়ায় খেলা হয়েছে শ্যুটআউটে।

শ্যুটআউটে রাসেলের রজার, ফ্রান্সিসকো, আমিন ও মিথুন গোল করেছেন। শাকিলের শট বাইরে দিয়ে চলে গেছে। অন্যদিকে বিজেএমসির ইলিয়াসু, বাঙ্গুরা, ফয়সাল ও ইকাঙ্গা গোল করেছেন। সাইফের শট বিপ্লব ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে খেলা গড়িয়েছে সাডেন ডেথে। সাডেন ডেথে রাসেলের রেজার শট সাইড বারে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু বিজেএমসির ফেলিক্সর শট জালে জড়ালে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে সতীর্থরা।

আগামী ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজেএমসির প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ২, ২০১৩)