বিএনপির দাবি
তৃতীয় দিনে নিহত ৩, আহত ৫৮৭
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ১৮ দলের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনে সারাদেশে নিহত ৩ জন, আহত ৫৮৭ জন, গুলিবিদ্ধ ১৪৬ জন, গ্রেফতার ২৯১ জনসহ ২৫০০টির বেশি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। দলটি আরো বলেছে এই দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের ২ জন কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বিএনপি প্যাড এ দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ অবরোধের চিত্র তুলে ধরেন।
নাটোর জেলা : কানাইখালীতে হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে হাজারও জনতার মিছিলে পুলিশ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম শিমুলের নেতৃত্বে মিছিলে গুলি চালালে সদর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন মারা যায়। এতে যুবদলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ডালিম, তুষার, আবিদসহ প্রায় ৩৫ গুলিবিদ্ধ হয়। জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডালিমসহ প্রায় ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বগুড়া জেলা : চরকালিকাপির যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন প্রামানিক ইমরানকে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রথমে গুলি করে পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। তাকে তার ছোট ভাই বাঁচাতে আসলে তারও হাত কেটে ফেলে।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা : অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের হলে পুলিশ বিএনপি নেতা রুবেলকে গুলি করে হত্যা করে।
সিরাজগঞ্জ : ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশ গুলি করলে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মো. টুকু পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এতে প্রায় ৭০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। গ্রেফতার হয় ছাত্রদল নেতা রিংকু, মূসা, মাসুদসহ ২০ জনের অধিক।
নরসিংদী : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় ছাত্রদল জেলা যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, মাহফুজুর রহমান, ইলিয়াস, সুমন, অপু, শ্রমিক দল জেলা যুগ্ম সম্পাদক আলক মিয়া, তাতি দলের থানা সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, নবি হোসেন, জাসাস নেতা শাহাবুদ্দিনসহ ৩০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এতে পুলিশি হামলায় আহত হয় বিএনপি নেতা হান্নান, কামরুল, সবুজসহ ৪০ জন নেতাকর্মী।
বরগুনা : অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময় ছাত্রদলের জেলা যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব স্বপন, যুবদল নেতা জামিল হাসানসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এতে পুলিশের হামলায় ৩০ জন আহত হয়।
চাঁদপুর : চাঁদপুর শহরে অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময় পুলিশ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আকবর মাতাব্বর, সোলাইমান ঢালি, সিপন বন্দুকসী, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, শাহরাস্তি উপজেলার খোকন, মিজানসহ প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এতে গ্রেফতার হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সোলায়মান ঢালী, বিল্লাল হোসেন, আফজাল, সুক্কুর, রাশেদ, যুবদল নেতা শাহিন মাঝিসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ঝালকাঠি : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে যুবদল নেতা নাসিরউদ্দিন ও জুয়েলসহ প্রায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতে আহত হয় ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী।
কুষ্টিয়া : অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময় পুলিশের হামলায় ৫৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
কক্সবাজার : রবিবার রাতে কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জেলা শ্রমিকদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ উজ্জল, যুবদলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহম্মেদ গত রাতে তাদের বাসায় পুলিশ তল্লাশির নামে তান্ডব চালিয়ে বাসার সমস্ত আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরিবারের লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
চকোরিয়া উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সেলিম উদ্দিন বাচ্চুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
উকিয়া উপজেলার যুবদল নেতা আব্বাস উদ্দিন ফোরকান, নিসাত, আব্দুর রহিম, করিমুল্লাহসহ পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে।
ঢাকা মহানগর :
বাড্ডা থানা : অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের হলে বাড্ডা থানা বিএনপি নেতা শাহিন ও বাচ্চুকে ভ্রাম্যমান আদালত ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
আগারগাঁও থানা : গত রাতে ৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহারের বাসায় পুলিশ হামলা চালিয়ে তার বাসার জিনিসপত্র ভাংচুর করে। পরিবারের সদস্যদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ইউসুফের রায়েরবাজারের বাসায় পুলিশ হামলা চালায়।
মোহাম্মদপুর থানা : ৪১ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা লিটন মাহমুদের দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।
চকবাজার থানা : যুবদল মিছিল করার সময় পুলিশ মিছিল থেকে ইমরানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
ডেমরা থানা : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় যুবদল নেতা দুলালসহ পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
সূত্রাপুর থানা : শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় পুলিশ রানাকে গ্রেফতার করে। সূত্রাপুর থানা যুবদল সভাপতি জাবেদ কামাল রুবেলসহ ১০ জন আহত হয়।
রামপুরা থানা : অবরোধের সমর্থনে যুবদল মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে হামলা চালায়। এতে যুবদল নেতা সোহেল, টুনুসহ ৮ জন গুরুত্বর আহত হয়। পুলিশ মিছিল থেকে যুবদল নেতা আলমগীরকে গ্রেফতার করে।
কতোয়ালি থানা : অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করলে যুবদল নেতা কামালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মিছিলে পুলিশি হামলার কারণে আনোয়ারুল আজিমসহ ১০ জন আহত হয়।
রাজশাহী মহানগর : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশের আক্রমণে যুবদল নেতা ওয়ালি উল হক রানা, স্বপন, ফখরুল, ছাত্রদল নেতা সরোয়ার মানিক, মাহবুবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সফিকুল, বিএনপি নেতা ওয়ালি উল হক রানাসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
ফেনী জেলা : হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় পুলিশ মিছিলে আক্রমণ চালালে ১৮ দলের নেতৃবৃন্দ আব্দুর রহিম, নিজাম উদ্দিন, নাসিমসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হয়। জেলা ছাত্রদল নেতা আহাদসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
লক্ষ্মীপুর জেলা : মিছিল করার সময় পুলিশের হামলায় বিএনপি নেতা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, আব্দুল বাতেনসহ ১২ জন আহত হয়।
মাগুরা জেলা : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় জেলা যুবদলের সভাপতি কল্লোলসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে।
পাবনা জেলা : অবরোধের সমর্থনের মিছিল করার সময় যুবদল নেতা মোবারক, ছাত্রদল নেতা জুয়েলসহ ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
জয়পুরহাট জেলা : অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও ১৮ দলের নেতৃত্বে মিছিল বের হলে পুলিশ মিছিলে হামলা চালিয়ে ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
ঝিনাইদাহ : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলামসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
নড়াইল : মিছিল করার সময় ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসানসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে।
ভোলা জেলা : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় যুবদল নেতা রফিক, বিএনপির থানা যুগ্ম আহবায়ক নোমান চেয়ারম্যানসহ পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা : অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় ফতুল্লা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিনসহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা পারভেজ, আশরাফ খোকনসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ।
নারায়ণগঞ্জ : অবরোধের সমর্থনের মিছিল করার সময় যুবদলের মিছিল থেকে জাকির, মাসুমসহ ৫ জন গ্রেফতার।
ঢাকা জেলা : ধামরাই পৌরসভা অবরোধে সমর্থনে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার সময় যুবদল নেতা আনিস, বিল্লাল হোসেন, বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম, মোখসেদসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গাইবান্ধা জেলা : শহর বিএনপি সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান খান টিটুর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ তার বাড়িতেও হামলা করে।
(দ্য রিপোর্ট/টিএস/এমএইচ/এমসি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)