সিলেটে একের পর এক বোমা হামলা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সিলেটে সোমবার তিনটি সরকারি স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় সারা শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
দুর্বৃত্তরা শুধু সরকারি স্থপনায় বোমা হামলা করেনি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, এমপি প্রার্থী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের বাসায়ও বোমা হামলা করেছে। এসব ঘটনার পর নগরজুড়ে বোমা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে রবিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির দুই এমপি প্রার্থীর বাসাতেও দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা করে। যদিও এসব হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না নগরবাসীর।
সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউজে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা করে পালিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট সদর উপজেলার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বোমা হামলা চালায়। হামলাকারীরা শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়াতেই এসব করছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর শাহী ঈদগাস্থ বিটিভির উপকেন্দ্রেও কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে সোমবার রাত পৌনে ৯টায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের বাসায় বোমা হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণের কারণে তাদের বাসায় আগুন ধরে যায়। রাত পৌনে ৯টায় নগরীর মিরবক্সটুলাস্থ আজাদী ১০০ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মাসুক উদ্দিন আহমদ সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত পৌনে ৯টায় ৬-৭টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও আসাদ উদ্দিন আহমদের বাসায় হাত বোমা ছোড়ে। তারা ৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে একটি থেকে বাসায় আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসার নিচে রাখা একটি মোটর সাইকেলও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এসএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা মাসুক উদ্দিন ও আসাদ উদ্দিন আহমদের বাসায় দুর্বৃত্তরা ৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/এমজেসি/এমসি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৩)