শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে আমাদের ঐতিহ্য ফিরে আসুক
পত্রিকান্তরে জানা গেছে ৫০ হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় গত কয়েকদিনে কত মানুষের স্রোতধারা প্রবাহিত হয় ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামের দিকে। রবিবার শেষ হয় চারদিনের এই আয়োজন।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল কলকাতার একটি সংগঠন। আয়োজনটি ছিল শাস্ত্রীয় বা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের নানা শাখার। এখানে ভারত ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত গুণীশিল্পীরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিলেন। হাজার হাজার দর্শক হারিয়ে গিয়েছিলেন এক স্বর্গীয় সুরের মূর্ছনায়।
রাজনীতির প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় দগ্ধ ঢাকার মানুষ কিছু সময়ের জন্য হলেও হারিয়ে গিয়েছিল সুকুমার বৃত্তির এক নান্দনিক উপত্যকায়।
বিদেশি গুণী শিল্পীরা ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামের বিশাল জনারণ্যে অভিভূত হয়ে মন্তব্য করেন ঝিমিয়ে পড়া শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে নিয়ে এগিয়ে চলার প্রেরণা হয়ে থাকবে ঢাকার এই আয়োজন।
গত বেশকিছু কাল ধরে মনে হচ্ছিল উপমহাদেশের প্রাণ শুদ্ধ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শাখাগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ঢাকা ছিল আরো অনাদৃত। কিন্তু সেই ঢাকা-ই আজ সঙ্গীত সাধকদের কাছে এক অনন্য উপমা হয়ে উঠলো।
আমরা আশা করবো বাইরের গুণীজনদের পাশাপাশি নিজ প্রতিভাকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নানা ধারায় বিকশিত করার জন্য সাধ্যের সবটুকুই উজাড় করার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে এই আয়োজন। এই আয়োজন আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় মন্ত্রমুগ্ধ ঢাকার এই স্রোতারা ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, পণ্ডিত রবি শংকরেরই উত্তরসূরি। আগামীতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নানা শাখায় এখান থেকে বেরিয়ে আসবে বিশ্বখ্যাত আরো প্রতিভা।