কলকাতা প্রতিনিধি : বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার পুনর্বিচার (রিভিশন ট্রায়াল) প্রক্রিয়া শুরু করা হবে আগামীবছরের শুরুতেই। সোমবার কলকাতায় একথা জানিয়ে বিএসএফ-এর অতিরিক্ত ডিজি বংশীধর শর্মা বলেন, ‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করছি। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের প্রথমদিকেই পুনর্বিচারের কাজ শুরু করা যাবে।’

বিচারের সাক্ষ্য দিতে ফেলানীর বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদেরও ভারতে থাকার আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান বিএসএফ-এর এডিজি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়ানের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক সদস্য। বিএসএফ গুলিতে মৃত্যুর পর ফেলানীর মরদেহ দীর্ঘসময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। বাংলাদেশ সরকার তীব্রভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে এই ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করে ভারতের কাছে।

তারপর চলতি বছরের ১৩ আগস্ট অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ফেলানী হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে ১৯৬৮ সালের বিএসএফ আইন অনুযায়ী জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বিচার হয়। বিচারে সাক্ষ্য দিতে পরে ফেলানীর বাবা নুরু ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফ ভারতে আসেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর ওই আদালত উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় অমিয় ঘোষকে ‘নির্দোষ’ বলে সাব্যস্ত করে।

কিন্তু বিএসএফের বিশেষ আদালত ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে ‘নির্দোষ’ সাব্যস্ত করায় বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর সেপ্টেম্বর মাসেই এই মামলার পুনর্বিচারের সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিএসএফ।

(দ্য রিপোর্ট/এসএম/এপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)