গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : ৩ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্ত দিবস। এ দিনে কোটালীপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা পত-পত করে উড়তে থাকে। লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আনন্দে ফেটে পড়ে। দিবসটি পালন উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টায় হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি জাদুঘরে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন, ৯টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনাসভা। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম।

১৯৭১ সালের এ দিনে কোটালীপাড়ায় প্রায় ৫০০ পাকহানাদারকে পরাস্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা কোটালীপাড়াকে শক্রমুক্ত করে। চূড়ান্ত বিজয় ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হলেও কোটালীপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল ৩ ডিসেম্বর। এদিন সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। এদিন মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে কোটালীপাড়া থানা, মসজিদ ও গোডাউনে অবস্থানরত পাকসেনাদের পতন ঘটে। কোটালীপাড়াকে শত্রুমুক্ত করে হেমায়েত বাহিনী। পাকবাহিনী ও তাদের দোষররা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয় হেমায়েত বাহিনী।

কোটালীপাড়া মুক্ত হওয়ায় এদিন আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। মুক্তিকামী মানুষ অনেক দুঃখ বেদনার পর মুক্তির স্বাদ পেয়ে দলে দলে লাল-সবুজ পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র উঁচিয়ে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন এবং জয় বাংলা স্লোগান দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসবি/এএস/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)