বোন-ম্যারো প্রতিস্থাপনে নতুন পথ
বোন-ম্যারো হল হাড়ের ভেতর থাকা এক ধরণের নমনীয় পেশীকলা। সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার ও থ্যালাসমিয়া রোগীর বোন-ম্যারো প্রতিস্থাপনের দরকার পড়ে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের প্রায় ১৬০০ রোগী বোন-ম্যারো প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছেন। সারা দুনিয়ায় এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার। এদের মধ্যে মাত্র ৩০ ভাগ রোগী নিজের সাথে মিলে এমন দাতা পেয়ে থাকে। ফলে অধিকাংশ রোগীই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের ফলে সব রোগী্ই চিকিৎসা সেবা পাবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
পাঁচ বছর বয়সী মোহাম্মদ আহমদ এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিচ্ছে। মোহাম্মদ একবছর বয়সে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে কমবাইন ইমোউনোডিফিসিয়েন্সি সিনড্রোমমে ভুগছে, যা তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কমিয়ে দিয়েছে। বোন-ম্যারোই তার একমাত্র চিকিৎসা। এরমধ্যে যখন সে উপযুক্ত দাতার অপেক্ষা করছে সে সময় মোহাম্মদ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। তখন ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন, মিল না থাকা (মিসম্যাচ) বোন-ম্যারো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তার চিকিৎসা দিবেন।
মিসম্যাচ সেল দাতা হিসেবে মোহাম্মদ পাচ্ছেন তার বাবা জামিল আহমদকে। জামিল বলেন, আমরা অপেক্ষা করছিলাম পুরোপুরি মিলে এমন সেলের জন্য। কিন্তু কাউকে পাইনি। আল্লাহর রহমতে আমরা এই চিকিৎসা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নতুন এই পদ্ধতিতে ‘টি-সেল’ নামক সেলে পরিবর্তন এনে প্রতিস্থাপন করা হবে। চিকিৎসকরা আশা করছেন এতে মোহাম্মদ পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ২২, ২০১৩)