সংকট সমাধানে চাপ বাড়ছে : আসছে বিদেশিরা
বাহরাম খান, দ্য রিপোর্ট : ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ছয় ডিসেম্বর আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের রাজনৈতিক বিষয়ক বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা আসতে পারেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক সিনিয়র মন্ত্রী ব্যারোনেস ওয়ারসি।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তাদের সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনীতিকদের আগমন উপলক্ষ্যে মন্তব্য জানতে চাইলে বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সমঝোতার বিকল্প নেই। একতরফা নির্বাচন করে কোনো লাভ নেই। বিদেশিদের হস্তক্ষেপে যদি কোনো ভালো ফল আসে তাতে ক্ষতি নেই।’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তার দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কোনো বিষয়সূচি জানায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রায় তিন মাস আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেওয়া সুজাতা সিংয়ের অনির্দিষ্ট বিষয়ে হঠাৎ বাংলাদেশ সফর রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো এর আগে একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করেন। সর্বশেষ গত মে মাসে বাংলাদেশ সফর করেন তিনি। সেবারও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্দেশ্য ছিল। ওই সময়ে বাংলাদেশ ত্যাগকালে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে দুই দলের সমঝোতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বহুল আকাঙ্ক্ষিত সমঝোতা এখনো হয়নি।
এরই মধ্যে আবারো সফরে আসছেন ফার্নান্দেজ তারানকো। এবারে তার সফরের বিশেষত্ব হিসেবে জাতিসংঘ মহাসচিবের দুই নেত্রীকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া বৃটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক সিনিয়র মন্ত্রী ব্যারোনেস ওয়ারসি আবারো আসছেন বাংলাদেশে। গত সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
এবারও দায়িত্বশীল এই ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা রয়েছে তার।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংকটের এই মুহূর্তে সফরে আসা এসব বিদেশি অথিতিদের নিয়ে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। যদিও পূর্ববর্তী অনেক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ আলোর মুখ দেখেনি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দুই নেত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোনালাপ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘পূর্বে বিদেশিদের পক্ষ থেকে সমঝোতার আহ্বান জানাতে দেখা গেছে। এবারে তারা হয়তো কার্যকর কিছু উদ্যোগ নিতে পারেন। এজন্য আশাবাদী হওয়ার জায়গা আছে। সমাধানের বিকল্প কিছু তো নেই।’
(দ্য রিপোর্ট/বিকে/এইচএসএম/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)