বিজিএমইএর মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তৈরি পোশাক শিল্পখাতে নৈরাজ্য ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিবাদে ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিজিএমইএ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম।
পোশাক শিল্প মালিকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ নেতাদের বৈঠকে সোমবার এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাদের এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ ও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সবুর খান।
কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই এক প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ২৫ সদস্যের এক প্রদিতনিধি দল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে পুড়িয়ে যাওয়া স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের পোশাক কারখানার জন্য ক্ষতিপূরণ, পোশাক শিল্পকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
ওই বৈঠকের পর তারা প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দেখা করতে যান। কিন্তু পূর্ব সিডিউল না থাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তারা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা দেশের অর্থনৈতি ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির স্বার্থে শিল্পকারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আমদানি-রপ্তানির জন্য পরিবহনগুলোকে নিরাপদে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের পোশাক কারখানাকে প্রচলিত নিয়মের বাইরে যেয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশপাশি ভস্মীভূত কারখানা পরিদর্শনের আশ্বাস দেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই কারখানা পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি কারখানা ধ্বংসের জন্য যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন নিয়ে খেলছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবারের ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে বিজিএমইএ জানিয়েছে।
সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে কীনা?- এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম জানান, ‘না সে রকম কিছু না। আমাদের প্রর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।’
(দ্য রিপোর্ট/এমই/এমএআর/এমডি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)