ব্যাংক ব্রোকারদের বিষয়ে নমনীয় হওয়ার আশ্বাস গভর্নরের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুর্নমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির(আনরিয়েলাইজড লস)বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণের সময় বাড়ানোর বিষয়ে নমনীয় হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। ব্যাংক ব্রোকারদের দাবি নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাত করলে তিনি এ আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গভর্নর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিএসইর পক্ষে অংশ নেন সংস্থাটির সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু, জেষ্ঠ্য সহসভাপতি মো. শাহজাহান এবং সহসভাপতি মিজানুর রহমান।
সাক্ষাতকালে ডিএসইর পক্ষ থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গভর্নরের সামনে তুলে ধরা হয়।
(১) পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর মূলধনের উপর মোট বিনিয়োগ গণ্য করার ক্ষেত্রে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাদ দিয়ে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারের এক্সপোজার হিসাব করা;
(২) ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্জিন লোন এবং ডিলার একাউন্টের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনার্জিত মূলধনী ক্ষতির (আনরিয়েলাইজ লস) প্রভিশন করার সময় ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা এবং
(৩)পুনঃঅর্থায়ন তহিবলের ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৬০০ কোটি টাকা দ্রুত বরাদ্দ দিয়ে এই অর্থ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে বিতরণ করা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা্ন ডিএসই প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু।
বৈঠক শেষে ডিএসই সভাপতি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু ব্যাংক কেন্দ্রীক সেহেতু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বরাবর ব্যাংক ব্রোকাদের আবেদন করতে হবে। আর ব্যাংক ব্রোকারদের দাবিতে নমনীয় হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর।’
একই বিষয়ে ডিএসইর সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংক ব্রোকাররা যদি চায় তাহলে এ বিষয়ে নমনীয় হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য ব্যাংক ব্রোকারদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। কবে নাগাদ আবেদন করতে হবে তা জানানো হয়নি।’
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে ডিএসইতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে ২০ শতাংশ প্রভিশনিং সুবিধা আরও দু’বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল ব্যাংক ব্রোকাররা। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে ২২টি ব্যাংক ব্রোকারের ৫ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রভিশন সংরক্ষণের বিশেষ নির্দেশনা (২০ শতাংশ) পালন করতে হবে। কিন্তু ২২টি ব্যাংক ব্রোকার এ শর্ত পরিপালনে সক্ষম হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ব্রোকাররা আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিশেষ সুবিধা আরও দু’বছর বাড়ানোর দাবি জানায়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক জনাব মিনহাজ মান্নান ইমন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. কে. সুর চৌধুরী এবং আবু হেনা মোঃ রাজি হাসান, নিবার্হী পরিচালক মনিরুজ্জামান এবং সুধীর চন্দ্র দাস। এছাড়া ডিএসই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা, এফসিএমএ উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এইচকে/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩)