দ্য রিপোর্ট প্রতিদবদক : মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, ফতুল্লার খান সাহেব স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে আইসিসির প্রতিনিধি দল। এক কথায় তাদের ভাব প্রকাশ এমন-কোনো সমস্যা নেই। হিসেবে থাকার কথাও না। টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে যে সমস্যা ছিল তা শুধু সিলেট স্টেডিয়ামকে ঘিরেই। আইসিসির পরিদর্শনে বুধবার যোগ হবে সিলেট স্টেডিয়ামও। যে স্টেডিয়ামটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয়। কিন্তু এ স্টেডিয়াম নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন সিলেট থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হওয়া শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। জানিয়েছেন, ‘দুইশ ভাগ আশাবাদী।’

স্টেডিয়ামের কাজ সবই শেষ। এখন চলছে শুধু শেষ মুহুর্তের ধোয়া মোছার কাজ। নাদেলে বলেছেন, ‘বুধবার দুপুর দেড়টায় তারা সিলেট নামবেন। ২টায় পরিদর্শন শুরু হবে। কাজ আসলে সবই শেষ হয়ে গেছে। অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে আমি দুইশো ভাগ আশাবাদী। ফ্লাডলাইট, মিডিয়া সেন্টারসহ সবকিছু প্রস্তুত। ফ্লাডলাইটে যতটুকু আলো দরকার হবে তার চেয়ে বেশিই থাকবে। এখন শেষ মুহূর্তের ধোয়া মোছার কাজ চলছে।’

দর্শকদের উদ্দীপনা প্রচুর সিলেট স্টেডিয়ামকে ঘিরে। কিন্তু আসন সংখ্যা মাত্র ১৫ হাজার। এজন্য সবার চাহিদা মেটানো সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন এ পরিচালক, ‘সিলেটে ম্যাচগুলো খুবই জমজমাট হবে আশা করি। আমাদের এখানে মেয়র কাপ, লোকাল ম্যাচেই অনেক দর্শক হয়। যদিও আমাদের স্টেডিয়ামের ধারন ক্ষমতা ১৫ হাজার। এটার কারণে সবার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। সিলেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হবে তা সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। এই স্টেডিয়ামের মাধ্যমে তা পূরণ হবে। এখানে বিশ্বের নামী-দামী ক্রিকেটাররা খেলবে। এখানকার দর্শকরা তা উপভোগ করবে।’

এ স্টেডিয়াম নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। অনেক চ্যালেঞ্জ জয় করতে হয়েছে। একটা সময় মনে হয়েছিল আর বোধহয় এ স্টেডিয়ামে খেলা হবে না। শেষপর্যন্ত সব প্রস্তুত। এমনকি সিলেট স্টেডিয়ামে টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে ছেলেদের প্রথম রাউন্ডের ‘বি’ গ্রুপের ৬টি ম্যাচ ও মেয়েদের ২২ টি ম্যাচ হবে। মোট ২৮ টি ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

নাদেল জানালেন সেই সব চ্যালেঞ্জের কথা। বলেছেন, ‘এই স্টেডিয়াম তৈরি করতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ এটি অসম্পূর্ণ থাকায় অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্রুততম সময়ে স্টেডিয়ামটির কাজ শেষ করতে পারা আল্লাহর রহমত। কারণ ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে। এই স্বল্প সময়ে এতকাজ করা কঠিন ছিল। একরকম অসম্ভবই ছিল বলতে হবে। বিসিবি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সবাই সবসময় স্টেডিয়ামের কাজের খোঁজ খবর রেখেছেন। তারা কাজ পরিদর্শনও করেছেন। ঠিকাদাররাও তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আমি বলবো, সবার সমন্বিত অবদানে এটি সম্ভব হয়েছে।’

আইসিসি পরিদর্শক দলের প্রধান ক্রিস টেটলি, টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ধিরাজ মালহোত্রা, পরামর্শক ইওগান ভুরেন ও পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন বারবারই এসেছেন। স্টেডিয়ামগুলো পরিদর্শনও করেছেন। দিয়েছেন নানা পরামর্শও। এমনকি স্টেডিয়াম প্রস্তুতের জন্যও সময়ও দিয়েছেন। এখন চুড়ান্ত অনুমোদনের পালা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ৩, ২০১৩)