দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা ২৭টি মামলায় সাক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ক্রমান্বয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের এ জিজ্ঞাসাবাদ বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম-পরিচালক মনির আহাম্মদ সিকদার, উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-২ এর উপ-পরিচালক মো. রেজাউল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. হাসান আসকারী ভূঞা, বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং উপ-পরিচালক কাজী আরিফুর রহমানকে ক্রমান্বয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

হলমার্ক কেলেঙ্কারির দায়ে মোট ৩৮টি মামলা দায়ের করে দুদক। এরমধ্যে প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ২৭টি মামলায় করা হয়।

এছাড়া ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। যার মধ্যে গত ৭ অক্টোবর ফান্ডেড এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের দায়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ টিমের অন্যরা হলেন- উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা, সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, মোছা. সেলিনা আক্তার মনি, মো. নাজমুচ্ছায়াদাত, উপ-সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/জেএম/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩)