দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল অতুল্যতেজেনের ৮৬তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে থাইল্যান্ডে।

সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের কাছে ভূমিবল অতুল্যতেজেন জন্মদিন উপলক্ষ্যে সামরিকভাবে শান্ত থাকার আহ্বান জানালে বিক্ষোভকারীরা তাতে সাড়া দেন। দুইপক্ষই কিছুদিন সামরিক বিরতিতে যাওয়ার ব্যাপারে একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।

তবে, এখনো কয়েকজন বিক্ষোভকারী রাজধানী ব্যাংককের পুলিশ সদর ঘিরে রেখেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২৪ নভেম্বর থেকে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করলেও এক পর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।

তবে ৫ ডিসেম্বর রাজার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সামরিকভাবে আন্দোলন বন্ধের ব্যাপারে হয় বিক্ষোভকারীরা।

রাজার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে বুধবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীদেরও ডেমোক্রেসি মনুমেন্ট পরিস্কার করতে দেখা গেছে।

সরকার পতনের এ আন্দোলনে শনিবার পর্যন্ত অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ২০১০ সালের পর এটাই থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট।

২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থনের মাধ্যমে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটির রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে থাকসিনের বিরোধীরা ব্যাংকক বিমানবন্দরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ২০১০ সালে তার সমর্থকরা দুই মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে পুরো ব্যাংকক শহর অচল করে দেয়।

সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়। দুই মাসব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। সূত্র: বিবিসি।

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩)