দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত চৌধুরী মঈন উদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিচারের রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে। ‘তাদের বিচারেরর রায় ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্ইাব্যুনাল-২ মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছে। যে কোন দিন রায় ঘোষণা করা হতে পারে’-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান এ কথা বলেছেন। খবর বাসস।

এমকে রহমান বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের সব কয়টি মামলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। শিগগিরই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে।

এছাড়াও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মামলার বিচারিক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নিয়ম অনুযায়ী সাফাই সাক্ষ্য শেষে যুক্তিতর্ক। এরপরই মামলাটি রায়ের জন্য প্রস্তুত করা হবে বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই সপ্তাহেই চৌধুরী মঈন উদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে আটক ও পালাতক মিলিয়ে মোট ১৭টি মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৮টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

বুদ্ধীজীবী হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাসহ চেৌধুরী মঈন উদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খান-এই দুই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আনিত প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়, ওই দুই আল-বদর নেতার নেতৃত্বে দেশের বরেণ্য বুদ্ধীজীবীদের অপহরণ করার পরে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রসিকউটর শাহীদুর রহমান চৌধুরী মঈন উদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আনা ১১টি অভিযোগের বিভিন্ন সাক্ষীর জবানবন্দি ও দালিলিক প্রমাণ তুলে ধরেন এবং আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত দুই আইনজীবী তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন।

গত ২৪ জুন চৌধুরী মঈন উদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল-২ এ অভিযোগ গঠন হয়। গত ২ মে এ দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল ট্রাইব্যুনাল। দেশে না থাকায় তাদেরকে আদালতে হাজির হতে দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির না হওয়ায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

(ওএস/এইচএসএম/অক্টোবর ২২, ২০১৩)