দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক সমাপ্ত হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল- ৪ এর বিচারক এবিএম নিজামুল হক বুধবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে ১৮ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

হাজতে থাকা আসামিরা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি এসএম রফিকুল ইসলাম যুক্তিতর্কে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

২৪ অক্টোবর প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর তাজুল ইসলামের জেরা সমাপ্তের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষ্য সমাপ্ত হয়।

১৪ জুলাই মামলার বাদি সূএাপুর থানার এসআই জালাল আহমেদের স্বাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হকের আদালত ২ জুন ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এদের মধ্যে আটজন কারাগারে ও ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ২১ আসামি হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল (চাপাতি শাকিল), মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, মীর মো. নূরে আলম লিমন, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশারফ হোসেন। এরা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী।

৫ মার্চ এ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ছাত্রকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২ এপ্রিল চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সকালে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়।

বিশ্বজিৎ দাসের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর মশুরা গ্রামে।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এমএআর/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩)