বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠানে পেলে চমক!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিশ্বকাপের ড্র শুক্রবার। সেখানে ভিন্নরূপে আর্বিভূত হচ্ছেন কিংবদন্তি পেলে৷ কিন্তু সেখানে তার কী ভূমিকা হবে; তা গোপন রেখেছে ১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থা ফিফা৷ স্যাটেলাইটের কল্যাণে প্রায় ২০০ দেশের কমবেশি ২৫ কোটি ভক্ত এই অনুষ্ঠান উপভোগ করার কথা। বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে পেলে সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা-ও জানানো হয়নি৷
অনুষ্ঠানের ম্যানেজার লুইজ গ্লেইসে জানিয়েছেন, ‘এখানে থাকছেন পেলেও। ফিফা ফিল্মের প্রধান ডেভিড অসেলের কথায়, ‘পেলে এক সময় মঞ্চে আসবেন৷’ কিন্তু, তার পর কী, ভেঙে বলেননি তিনিও৷ কেবল আগাম বলে রেখেছেন, ‘শুক্রবার পর্যন্ত তা চমক হয়েই থাক৷’ অর্থাৎ পেলেকে নিয়ে তাদের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। ক্রিকেট উন্মাদনা দেশ বাংলাদেশের ভক্তদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে পেলে বিস্ময়ের জন্য।
ফুটবল কিংবদন্তি পেলে ব্রাজিল সরকারের বিশ্বকাপ দূত৷ কিন্তু জুন মাসে কনফেডারেশন্স কাপের ড্রতেও তাকে দেখা যায়নি৷ এমনকি বিশ্বকাপের আগে গা-গরম করার ওই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেও ছিলেন না তিনি৷ এমনকি বিশ্বকাপ নিয়ে সামান্য প্রচারমূলক অনুষ্ঠানেই দেখা গিয়েছে তাকে৷ তাই পেলেকে ঠিক কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে তা নিয়ে এখনই ভাবনায় বসে গেছেন ভক্তরা।
২০তম বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্রয়ের আগে ব্রাজিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়েছে৷ দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতির মধ্যে বিশ্বকাপ আয়োজন করা নিয়ে দেশে আন্দোলন চলছে অনেক দিন ধরেই৷ কনফেড কাপের সময়ও এমন আন্দোলনের মুখে পড়েছিল সরকার৷ তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়; তার জন্য ব্রাজিল সরকারকে নিরাপত্তা জোরদার করতে অনুরোধ করেছিল ফিফা৷ সালভাদোর শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে কোস্তা সাউপি রিসোর্টে এই ড্র অনুষ্ঠান৷ এই শহরেই কনফেড কাপের সময় সবচেয়ে বেশি হিংসাত্মক প্রতিবাদ হয়েছিল৷ ইতিমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীর ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে ওই অঞ্চল৷ বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির আঞ্চলিক প্রধান সেন্ট ক্লেয়ার মিলেসি জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপের যে কোনও অনুষ্ঠানেই আমাদের সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য৷ নিরাপত্তারক্ষীদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
সাও পাওলো স্টেডিয়াম ভেঙে পড়ার অনভিপ্রেত ঘটনায় ক্রেন চালক হোসে ওয়াল্টার জ্যাকুইমকে খুঁজছে পুলিশ৷ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্রেন তার ভুলেই ওই দুর্ঘটনা৷ যেখানে মৃত্যু হয়েছিল ২ কর্মীর৷ ঘটনার পর থেকেই ওই ক্রেন চালক উধাও৷ জ্যাকুইমের পড়শিরা জানিয়েছেন, ‘ওই ঘটনার পর থেকে তারাও দেখেননি।’ তদন্ত কমিটির তরফ থেকে এই স্টেডিয়াম ভেঙে পড়ার ৩টি কারণের কথা বলা হয়েছে৷ এক. মানুষের ভুলে এই দুর্ঘটনা৷ দুই. যান্ত্রিক সমস্যা এবং তিন. নীচ থেকে মাটি ধসে যাওয়া৷ পুলিশ মনে করছে, এই সময় ওই ক্রেন চালক থাকলে, তাদের তদন্তের সুবিধে হত৷
ব্রাজিলের ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। তবে তা নিয়ে সেই অর্থে মাথা ব্যথা নেই ফিফার। তারা এখন ড্র অনুষ্ঠানের জাঁকালো আয়োজন নিয়ে ভাবছে। ১২ জুন থেকে ১২ জুলাই মাস ব্যাপী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ১২টি স্টেডিয়াম। ৩২ দলের মাঠের লড়াইয়ের আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ড্র অনুষ্ঠান। সেখানে পেলের গুরুত্বও কম নয়। একই কারণে তাকে ঘিরে রহস্যজাল তৈরি করেছে ফিফা।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/নভেম্বর ৪, ২০১৩)