ক্ষতিকর ওষুধ!
সাধারণত রোগ-ব্যাধি, ব্যাথা সারানোর জন্য ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এবার জানা গেল ওষুধের মধ্যেই ক্ষতিকর জীবাণু থাকার কথা।
বিষাক্ত উপাদান বা ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি ওষুধের মধ্যে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান খুঁজে পেয়েছেন মোসলে।
মোসলে উদাহরণ হিসেবে বোটক্স (বোটালিনাম টক্সিন) নামক ওষুধটি নিয়ে তার গবেষণার কথা জানান। ১৮শ’ শতাব্দিতে আবিস্কৃত এ ট্যাবলেটটি দুশ্চিন্তানাশক হিসেবে বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। এক ধরনের সাপের বিষ থেকে এটা তৈরি করা হয়। তিনি গবেষণায় দেখেছেন এক মিলিগ্রাম বোটক্সের এক লাখ ভাগের এক ভাগ এক কেজি ওজনের একজন মানুষকে মারার জন্য যথেষ্ট। সে হিসেবে ৭০ কেজি ওজনের একজন মানুষের মৃত্যুবরণ করার জন্য ০.০০০০৭ মিলিগ্রাম বোটক্সই যথেষ্ট। অথবা এটিকে যদি বাষ্প আকারে বাতাসে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে ঐ একই মানুষের জন্য এক ঘন মিলিমিটারের কম বোটক্স লাগবে।
বিষাক্ত বোটক্স মানুষের শিরা ও কোষের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে কোষগুলো মারা যায়। এ উপাদানটি যদি স্যালাইনের মাধ্যমে শরীরে ঢুকানো হয় তাহলে তা আরও দ্রুত কাজ করে।
তিনি জানান, বর্তমানে বোটক্স প্রায় ২০ ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হচ্ছে যা মানব শরীরের জন্য হুমকি স্বরূপ।
মোসলের গবেষণায় দোকান থেকে কেনা চা, চিনি ও শুকনো খাবারেও ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া গেছে। এগুলোতে থাকা স্বাদহীন আর্সেনিক অক্সাইড মানব শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আর্সেনিক অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় অধিক ক্ষতি করে। এ তথ্যটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের জন্য বেশি ভয়াবহ।
(দিরিপোর্ট২৪/এসকে/এমডি/অক্টোবর ২২, ২০১৩)