আমজাদ হোসেন, দ্য রিপোর্ট : দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় চট্রগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে বিপুল পরিমাণ পণ্য খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখামুখি হচ্ছে আমদানিকারকরা। তার উপর পণ্যে খালাসের বিলম্ব ফি ও স্টোরেজ চার্জ ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, বিএনপির নের্তৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা অবরোধের প্রথম দুই দিনে প্রায় ৪৬ হাজার টন আমদানি করা পণ্য ইয়ার্ডে পড়ে আছে। প্রথম দুই দিনে গড়ে মাত্র ৩৫০ টুয়েন্টি ফিট ইকুবেল্যান্ট (টিইইউ) পণ্য খালাস করা গেছে। যেখানে অন্যান্য দিনে গড়ে ২৩০১ টিইইউ পণ্য খালাস হয়। নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস করতে না পারায় বাড়তি চার্জ ঘুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। এতে বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখামুখি হচ্ছে আমাদানিকারকরা।

এই বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও আমদানিকারক আলহাজ্ব ওমর ফারুক ভূঁইয়া দ্য রিপোর্টকে বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশের আমদানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরে অনেক পণ্য খালাসের অপেক্ষা দিনের পর দিন পণ্য পড়ে আছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা করে টিকে থাকা সম্ভব নয়।

এদিকে চট্রগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে স্টোরেজ চার্জ কমানোর জন্য শনিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ কোন সিন্ধান্ত না হওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীক নেতারা।

হয়রানির শিকার হয়ে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং (সিএন্ডএফ) প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী শিহাব চৌধুরি বলেন, পণ্য খালাসে বিলম্ব করায় আমাদের প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিএফএ)। অথচ এতে আমার কোন হাত নেই।

এব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক বলেন, টানা অবরোধে আমাদের পণ্য সরবরাহে ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিদিন আমরা বিপুল পরিমাণ লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছি।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এসবি/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩)