দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত ১৮ দলের ডাকা অবরোধে সারাদেশে আটজন নিহত হয়েছেন। গাইবান্ধায় ট্রেনে নাশকতায় পাঁচজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন একজন, কিশোরগঞ্জে অবরোধ সমর্থনকারীদের ধাওয়ায় পিকআপ উল্টে একজন এবং ফেনীতে বিকেল পৌনে ৪টায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল নেতা হারুন অর রশিদ হারুন (৪২) নিহত হন।

অন্যদিকে, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন নেতাকর্মীর মৃত্যুর কথা বলা হয়। এছাড়া আহত আটশোর অধিক, ৫০ জনের অধিক গুলিবিদ্ধ, ২৬৭ জনের অধিক গ্রেফতার ও ২৭০০ জনের অধিক মামলা দায়েরের কথা উল্লেখ করা হয়।

রাজধানীর শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ ঢাকা কলেজের ছাত্র ওহিদুর রহমান বাবু (২২) ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান। আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওহিদুরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার অভিরামপুরে। তিনি ঢাকার বংশাল আগামসি লেন ৯৬/১ নম্বর বাসায় থাকতেন। ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।

দ্য রিপোর্টের গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, জেলায় ট্রেনে নাশকতায় পাঁচ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হন। বোনারপাড়া-সান্তাহার রেলরুটে সাঘাটা উপজেলার বুরুঙ্গিতে ফিশপ্লেট খুলে রাখার ফলে মঙ্গলবার রাত দেড়টায় পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিন ও চারটি বগিসহ লাইনচ্যুত হয়। এতে এক নারীসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হন।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার চৌদ্দশত বাজার এলাকায় অবরোধ সমর্থনকারীদের ধাওয়ায় পিকআপ উল্টে চালক নিহত হন। এ সময় আহত হন আরো সাতজন। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টায় মযমনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের চৌদ্দশত বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম উজ্জ্বল সরকার (৪০)। আহতদের কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হতাহতদের সবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দি উপজেলায়।

ফেনীতে বিকেল পৌনে ৪টায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে যুবদল নেতা হারুন অর রশিদ হারুন (৪২) নিহত হন। সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের ‍যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এমসি/এমএআর/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩)