দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভাবতে পারেন হাসির আবার হলুদ-সাদা কি! জেনে নিন, দাঁত হলুদ হলে হাসিও হলুদ হয়। তাছাড়া, হলুদ দাঁতের চেয়ে সাদা দাঁত আকর্ষণীয় ও স্বাস্থ্যকর।

হাসিতে হলুদ দাঁত দেখা যাওয়াকে স্বাস্থ্যকর বলার কারণ নেই। তাই বলুন হলুদ দাঁত আর নয়। আপনি হলুকে দাঁতকে প্রাকৃতিকভাবেই সাদা ও উজ্জ্বল করে তুলতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে হাসিতে মুক্তো ঝরাবেন-

মেশওয়াক দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে পারেন। এটি দারুণভাবে এনজাইম সমৃদ্ধ। নিয়মিত মেশওয়াক ব্যবহার দাঁতকে রাখে ঝকঝকে ও সুস্থ্য সবল। মেশওয়াকে সাধারণত নিম ডাল ব্যবহার করা হলেও অন্যান্য গাছের ডালও ব্যবহার করা যায়। এছাড়া আম গাছের কচি পাতা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে পারেন।

স্ট্রবেরি ভিটামিন সি ও ম্যালিক এনজাইমে সমৃদ্ধ একটি ফল। স্ট্রবেরি খাবার সময় দাঁতের উপরিভাগ পরিষ্কার হয়ে যায়। স্ট্রবেরি চটকে টুথপেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে এক বা দুইবার ব্রাশ করলে ভালো ফল পাবেন।এছাড়া নিয়মিত ভালোভাবে চিবিয়ে স্ট্রবেরি খান।

ইদানিং অনেক টুথপেস্ট প্রচার করছে তাদের টুথপেস্ট ফ্লসিংয়ের কাজ করে। ফ্লসিং হলো সুতোর সাহায্যে দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাদ্যাবশেষ পরিষ্কার। বলা হয়ে থাকে দাঁত পরিষ্কার রাখতে ব্রাশ করার চেয়ে ফ্লসিং বেশি কার্যকরী।

খাবার সোডার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রাশ করুন। ভালো ফল মিলবে। দেখুন দাঁত কেমন ঝকঝকে হয়ে গেছে! কমপক্ষে সপ্তাহে একবার এই কাজটি করুন।

খাবারযোগ্য হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করে। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহারে ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট সংক্রমণ ও দুগন্ধ দূর হয়।

চা, কফি, সোডা বা ওয়াইনের মতো পানীয় দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর। এইসব ক্ষেত্রে স্টু ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আমরা সাধারণত এগুলো স্টু দিয়ে পান করতে অভ্যস্ত নয়। তাই এইসব পানীয় পানের পর ব্রাশ করে নিতে পারেন।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এমডি/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৩)