জাবিতে উপাচার্যের বাসা ভাঙচুর
জাবি সংবাদদাতা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদারের বাসভবনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়। এতে বাসার জানালার কাচ ভেঙে গেলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের বাসা ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদারের বাসায় অজ্ঞাতনামারা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বাসার জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ সময় অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বাসায় ছিলেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা সজল জানান, এ ঘটনার ১০ মিনিট আগে ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোচিহ্নিত একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে। তবে কী কারণে এ অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করেছে, তা জানা যায়নি।
এ ঘটনার পরপর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় দেড়শ শিক্ষক জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ’ সাধারণ শিক্ষার্থী এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি রাত সাড়ে ৯টায় উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মিছিল থেকে উপাচার্য ও প্রশাসনবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে এ ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করার দাবি জানান। তারা উপাচার্যকে আধঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। তবে উপাচার্য এ ব্যাপারে কোনো জবাব দেননি।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে সাভার সার্কেলের এএসপি রাসেল শেখ, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম বলেন, আমরা জর্দার কৌটা ও লাল স্কচটেপ পেয়েছি, যা থেকে বুঝতে পারছি এখানে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার বলেন, যারা আমাকে ফোনে ও এসএমএসে হুমকি দিয়েছে সেই উপাচার্য ও তার বাহিনী আমাকে হত্যা করার জন্য এই বোমা মেরেছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি তিন দিন ধরে অবরুদ্ধ। আমি এ ঘটনার সঙ্গে কীভাবে জড়িত থাকব? তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি সরকারের উচ্চমহলসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে এবং এ ঘটনার জন্য ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পরও আমরা নিরাপত্তা দিতে পারিনি। এখন দুর্বৃত্তদের আমরা খুঁজে বের করব।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/এস/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)