নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। খাদ্য এবং খাদ্য বহির্ভূত উভয় ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
নভেম্বরে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ যা অক্টোবর মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর পরিসংখ্যান ভবনে এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে যে হারে মূল্যস্ফীতি বাড়ার কথা ছিল সে হারে বাড়েনি। কেননা নভেম্বর মাসে শতকরা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। কিন্তু অক্টোবর মাসে বৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গ্রামে সবক্ষেত্রেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। নভেম্বর মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ যা অক্টোবর মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
শহরেও সবক্ষেত্রেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্য পন্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ যা অক্টোবর মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, শাকসবজি, দুধ ও অন্যান্য খাদ্য পণ্যেও দাম বাড়ায় খাবারের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অন্যদিকে পরিধেয় বস্ত্রাদি, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র গৃহস্থালি, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিভিন্ন দ্রব্য ও সেবার দাম বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে।
(দ্য রিপোর্ট/জেজে/জেএম/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)