তারেকের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আপিল দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খুরশীদ আলম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আজ কোর্টে অফিসিয়ালি বিষয়টি ফাইল করা হয়েছে এবং তা রেজিস্ট্রারভুক্ত করা হয়েছে। আপিলের শুনানির বিষয়টি কোন বেঞ্চে হবে তা কোর্ট বিবেচনা করবে।’
সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড, ৪০ কোটি টাকা জরিমানা ও ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত মামলার অপর আসামি তারেক রহমান বেকসুর খালাস দেন।
দুদক জানায়, মামলাটি অত্যন্ত শক্তিশালী। এতে অপরাধের ধরন ওই দু’জনেরই একই। ফলে রায় পৃথক হওয়ার সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ‘মামলার আসামি তারেক রহমান এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ একই। এতে দু’জনের সম্পৃক্ততা ও অপরাধের ধরনও একই। এখানে বিচারে ভিন্নতা হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না বলে আমি মনে করি।’
তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নির্মাণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। পরবর্তী সময় সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটিব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকা থেকে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন। এ মামলায় ২০১১ সালের ৬ জুলাই তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট মামুন ও তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এনডিএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)