দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে কি করবে না তা তাদের বিষয় মন্তব্য করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা আসবে সরকার তাদের নিয়েই নির্বাচন করবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা জানান।

জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সরকার বেকায়দায় কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের বেকায়দার কিছু নেই। সরকার নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার কোন বিষয় নেই। এরশাদ সাহেব মহাজোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছেন। এখন তিনি নির্বাচন করবেন কি করবেন না, এটা তার বিষয়। এটা নিয়ে তার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করার তো প্রশ্ন ওঠে না।

বিএনপির পর জাতীয় পার্টি না এলে আপনারা নির্বাচন করবেন কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবে, এটা লাউডার অ্যান্ড ক্লিয়ার।

জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা পদত্যাগ করেছেন বলে আমার জানা নেই। মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যে কেউ প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে পারেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর মধ্যে নানা মেরুকরণ হবে। জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা দেখার বিষয় বলেও জানান তিনি।

যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, আকস্মিক বার্তায় আবারো ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়েছে। আবারো নাশকতার সৃষ্টি ও লাশ বানানোর উস্কানি দেওয়া হলো। আমাদের কাছে মনে হয় বিরোধী দল এ ধরনের আফগান স্টাইলের মধ্যদিয়ে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটা যুদ্ধ ঘোষণারই নামান্তর। এভাবে নাশকতার মাধ্যমে বিরোধী দল জনগণের মাঝে তাদের আবেদন ধরে রাখতে পারবে? বিরোধীদল কি নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতার ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে না?

বিরোধীদলের অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসমাবেশ নেই, জনগণের উপস্থিতি নেই। এটাকে লাদেন স্টাইলে আন্দোলন ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।

অবরোধের ডাক দিয়ে বিরোধীদলের নেতারা মাঠ থাকছেন না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা মাঠে থাকলে কর্মীদের সংযত রাখতে পারতেন, নাশকতা কম হতো।

বিরোধীদলের নেতাদের মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না, বেশিরভাগ নেতাকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তারা মাঠে নামবেন কিভাবে- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন করবেন জনগণের জন্য, জীবনের ভয় করলে আন্দোলন করবেন কিভাবে। বিরোধী দলে থাকতে আমাদেরও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতে কার্যালয়ে হামলা চালানো হযেছে।

বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, সবাই জানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব হয়তো কৌশলগত কারণে তা স্বীকার করেননি।

জনগণের জানমলের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সরকার চেষ্টা করছে।

কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনা চলে গেলে সব সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় না তিনি চলে যান। হাসিনাকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/জেএম/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)