দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বাংলাদেশে এসেছিলেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। বর্তমান পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করতে। কিন্তু তিনি সফল হননি।

এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি এ সব কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন, তিনি (সুজাতা) বাংলাদেশিদের মৌলবাদী বলেছেন। তার জ্ঞাতার্থে আমি বলতে চাই, আমরা সকলে মৌলবাদী। কারণ আমরা সকলে নিজ নিজ ধর্মের মূলমন্ত্রে বিশ্বাস করি। যারা নিজ ধর্মের মূলমন্ত্রে বিশ্বাস করে না তারা নাস্তিক।

তিনি বলেন, আমরা ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে সব সময় বলেছি, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সকল প্রকার সমস্যার সমাধান সম্ভব। এদেশের মানুষ একাধিক বার এ ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন কেন সম্ভব নয়? কার স্বার্থে সরকার দেশকে অস্থীতিশীল করছে, অনিশ্চয়তা এবং ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে বর্তমান সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মূলত সরকার নিজেই এ সমস্যার সৃষ্টি করেছে।

ভারতকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশের জনগণ একবার যখন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে, ওই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফেরে না। সুতারং নির্বাচন পদ্ধতি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ ঘরে ফিরে যাবে না।

অলি আহমদ বলেন, এক দলীয় শাসন থেকে বের হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সরকারি বাহিনীর হাতে প্রায় ৮০ জন মৃত্যুবরণ, কয়েক শত গুলিবিদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ১৮ দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাবরণ করেছেন। কয়েক লাখ নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে শেষ অস্ত্র হলো জনগণের এ সংগ্রামকে নিস্তব্ধ করার জন্য আরো গুলি চালানো।প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা। সরকারের উদ্দেশে আমি বিনীতভাবে বলতে চাই, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং দমন নীতির মাধ্যমে এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং ভোটারাধিকার হনন করা সম্ভব নয়।

অলি আহমদ বলেন, সরকার দেশ এবং জাতির স্বার্থে নির্বাচনের সময় সূচি বাতিল করে, অনতিবিলম্বে আলোচনা জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায় আওয়ামী লীগকে আরো খেসারত দিতে হবে। জনগনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। কারণ জনগণ এখন আর নিজের জন্য বিপদ ডেকে আনতে চায় না। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় দেশের মানুষ অনেক বেশি সজাগ। জোর করে ক্ষমতায় আসা সম্ভব, কিন্তু টিকে থাকা সম্ভব নয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরি অবস্থা বজায় রেখে, দেশ শাসন করাও সম্ভব নয়।

(দ্য রিপোর্ট/টিএস/এমএইচ/এসবি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)