খোকা ২ দিনের রিমান্ডে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার জামিন আবেদন নাকচ করে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ সালাম এ আদেশ দেন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাজধানীতে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় আসামিপক্ষ জামিন আবেদন জানায়।
এদিকে বাদী পক্ষ দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। শুনানি শেষে রমনা থানার মামলায় রিমান্ড ও জামিনের উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম এমএ সালাম। এ ছাড়া শাহবাগ থানায় করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তিনি।
রিমান্ড শুনানিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে খোকা বলেন, ‘একাত্তরে মক্তিযুদের সময় জীবনের মায়া ত্যাগ করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম। বিজয়ের এ মাসে আমি গ্রেফতার হয়ে এসেছি।’ উভয়পক্ষের প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডার মধ্যে এ সময় তার বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল না।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এমএ জলিল ও রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সেলিম আসামিকে পৃথক দুটি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
খোকাকে বুধবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর রোডের ১৮ নম্বর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তাকে হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও খোকাকে আরও দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হচ্ছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিশুপার্ক এলাকায় সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় ১৯ যাত্রী গুরুতর দগ্ধ হন। আগুনে পুড়ে গুরুতর দগ্ধদের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজন মারা যান। এছাড়া ১ ডিসেম্বর মালিবাগে চলন্ত বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় একযাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান।
শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। মামলায় রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ ১৮ দলের সিনিয়র নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উস্কানি, পরিকল্পনা, যড়যন্ত্র, সহায়তা, মদদ ও অর্থায়নের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ও বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, মহানগর নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মহিদুল ইসলাম হীরু, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর (উত্তর) সভাপতি হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির রওশন, শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এনডিএস/এমএআর/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৩)