দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গণতন্ত্র মুক্তি দিবস শুক্রবার। স্বৈরাচার পতনের ২৩ বছর পূর্তি আজ। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার উত্তাল গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। আর এ পতনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসান হয়, মুক্তি পায় গণতন্ত্র।

১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অবৈধ পথে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন কায়েম করেন। গুটিকয়েক রাজনৈতিক নেতা নিজেদের দল ছেড়ে ক্ষমতার ভাগ নিতে এরশাদের সঙ্গে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দলীয়, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দলীয় এবং সিপিবি, জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বে পাঁচ দলীয় জোট এবং সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সম্মিলিতভাবে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। এ আন্দোলনে নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, ডা. মিলনসহ নাম অজানা অনেক অকুতোভয় মানুষ রাজপথে প্রাণ দেয়। ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্র মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকল ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার প্রত্যয় ঘোষণা করে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হরতালের সময় নূর হোসেনকে স্বৈরাচার এরশাদের বাহিনী গুলি করে। যার বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক-গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা ছিল।

এসব মৃত্যু গণআন্দোলনকে আরো তীব্র করে তোলে। আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে তিনটি জোট ঐক্যবদ্ধভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে। এরপর পতন হয় স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের।

দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া আলাদা বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন সংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমডি/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৩)