দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের সাত ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে শুক্রবার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবারও সিরিজ জেতার মিশনে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।

প্রথম ওয়ানডেশুক্রবার হওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়ানডে ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামেই হবে ম্যাচটি। ১২ ডিসেম্বর তৃতীয় ওয়ানডেটিও একই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হবে এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে।

তিনটি ওয়ানডে চট্টগ্রামে হওয়ার পর চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডে হবে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে, ১৩ ও ১৬ ডিসেম্বর। ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম ওয়ানডে হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।

এরআগে অক্টোবরে এ দুই দলের মধ্যকার সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হয়। সেটি ওয়েস্ট ইন্ডিজে হয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল চারটি ম্যাচে জিতে সিরিজ জিতে নেয়। প্রথম ওয়ানডে হারের পর টানা তিনটি ম্যাচ জিতে। আরেকটি জয় পেতে বাংলাদেশ যুবাদের সপ্তম ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ম্যাচটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতে নিয়ে সিরিজে সমতা আনে। সিরিজের শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়। ম্যাচটিতে অনায়াসেই ৬৭ রানে জিতে বাংলাদেশ যুবারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় করে আসে। এবার দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরেকবার হারানোর পালা শুরু হচ্ছে।

বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ অবশ্য জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে তাদের মাটিতে হারাতে পেরেছি। এখানে আমরা স্বাগতিক। নিজেদের মাটিতে খেলব। সব জানা, পরিচিত। হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে আশা করছি এবারও সিরিজ জিতব।’

অবশ্য সিরিজে নামার আগেই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বড় হারের দেখা মিলেছে। যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ হারের জ্বালা এবার মেটাতেই এসেছে ক্যারিবিয়রা। ৫০ ওভারে ২৬৩ রান করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৪৯ রানেই গুটিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবারা। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ আর সিরিজের মুল ম্যাচ এক নয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল এখন প্রস্তুতি ম্যাচে হারের শিক্ষা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও কুপোকাত করতে পারলেই হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এএস/এমআই/ডিসেম্বর ৬, ২০১৩)