তিন ডজন ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে
দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন দিরিপোর্ট২৪কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অনুসন্ধান পর্যায়ের কাজ শেষ। এখন অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুমোদনের জন্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে।
দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিলমিল্লাহ গ্রুপের মালিকরা এক হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ দুবাই, লন্ডন ও মালয়েশিয়াতে পাচার করেছে। পাচারকৃত ওই অর্থ দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে ব্যবসা করছেন। ওই গ্রুপের মালিক ও এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, সোলায়মানের বাবা ও পরিচালক সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী এবং সোলায়মানের মা ও আরেক পরিচালক সারওয়ার জাহান বর্তমানে দুবাই অবস্থান করছেন। এছাড়াও গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার (হিসাব) মো. আবুল হোসেন চৌধুরী মালয়েশিয়ায় এবং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন লন্ডনে থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন জানান, অনুসন্ধান প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০/১১টি মামলার সুপারিশ থাকবে। ওইসব মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি, পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাসহ অর্ধশত ব্যক্তি আসামি হচ্ছেন। তবে সম্ভাব্য আসামির তালিকায় আপাতত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয় এবং সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীর নাম নেই। কারণ তারা এই গ্রুপের পরিচালক হলেও কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নথি এবং সম্প্রতি জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে তারা যে পরিচালক হিসেবে আছেন তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে ওই দুই এমপির ছেলেকে আসামির তালিকায় রাখা যাচ্ছে না।
অথচ বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক হিসেবে অ্যাডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয় এবং মোহাম্মদ আলী নিয়মিত বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন।
(দিরিপোর্ট২৪/জি/জেএম/অক্টোবর ২৩, ২০১৩)