বিউটির অবসর ভাবনা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ১৯৯৭ সালে জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও লং জাম্পে স্বর্ণ জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিল নোয়াখালী জেলার ছোট্ট একটি মেয়ে। ওই বছরই বড়দের আসর সামার মিটে ৪০০ মিটারে স্বর্ণ। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৮টি জতীয় আসরে গুনেগুনে ১৬ বার দ্রুততম মানবীর খেতাব। সেই ছোট্ট মেয়েটিই আজকের দ্রুততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি।
এখনও পর্যন্ত দ্রুততম মানবীর খেতাব রয়েছে তার দখলে। বিউটির বিকল্প খুঁজে না পাওয়া গেলেও অবসরের কথা ভাবছেন এ অ্যাথলেট। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে দ্রুততম মানবী বিউটি দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘দেশের জন্য কিছু করতে চাই। সবসময়ই নতুন কিছু অ্যাথলেট তৈরির স্বপ্ন দেখি। যারা শুধু ভালো দৌড়াবেই না একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেবে। বি সি অ্যাড (ব্যাচেলার অব ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন) শেষে খেলা ছেড়ে দেব। তারপর যদি সুযোগ পাই কোচিং পেশাটাই বেছে নেব।’
দ্রুততম মানবী হওয়ায় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনে (বিজেএমসি) চাকরির সুযোগ হয়েছিল বিউটির। ১৪’শ টাকা বেতনে শুরু করে এ প্রতিষ্ঠানে এখন জুনিয়র অ্যাসিস্টেন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখন অবসর নিলেও বিজেএমসি বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন বিউটি। কিন্তু বি সি অ্যাড পরীক্ষা শেষ না করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাচ্ছেন না এ অ্যাথলেট। দ্য রিপোর্টকে বলেছেন,‘বিজেএমসি আমাকে অনেক দিয়েছে। আমি যদি বলি এখনই অবসরে যাবো তারা না করবে না। কিন্তু আমি আরো কিছুটা সময় খেলায় থাকতে চাচ্ছি। আমি বলবো এখনও পর্যন্ত আমার সেরা টাইমিং আমি পাইনি, যা করতে চেয়েছি।’
বিউটির স্মরণীয় মুহূর্ত ২০১২ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স মিটে। ওই আসরে অনুশীলন না করেই ১০০ মিটারে অন্যদের পেছনে ফেলেছিলেন তিনি। এ বিষয়ে দেশ সেরা অ্যাথলেট বলেছেন, ‘২০১২ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের আগে অন্যরা ৬ মাসের ট্রেনিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল। আমি পরীক্ষার জন্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলাম। সবাই ধরে নিয়েছিল এবার চুমকি আমাকে পেছনে ফেলে ১০০ মিটারে স্বর্ণ জিতবে। কিন্তু আমি কাউকে আগে যেতে দেইনি। এটা ভাবলে এখনও আমার ভালো লাগে।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/ডিসেম্বর ৬, ২০১৩)