কাজী জামশেদ নাজিম, দ্য রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির চেয়াম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ‘২২’ এর মধ্যে বন্দী হয়ে আছেন। এটি তার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের শেষ পরিণতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার তার‘২২’ মেনে নিলেই তিনি নির্বাচনে আসবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

জাতীয় পার্টির নেতারা জানান, দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে ২২টি আসন ও ২২ জানুয়ারি মঞ্জু হত্যা মামলার রায় কেন্দ্র করে। একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরুত্ব বেড়েছে মন্ত্রিত্ব নিয়ে।

১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হয়। আজ ২২ বছর পর জাতীয় পার্টি নেতারা আবারও মন্ত্রিত্বের ছোঁয়া পান। সবকিছু মিলে ‘২২’ এ বন্দি হয়ে আছেন এরশাদ।

সরকারের কাছে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৭২টি আসন চাওয়া হয়। সরকার তাদের ৫০টি আসন দিতে রাজি হয়। এতে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা রাজি থাকলেও চেয়ারম্যান রাজি নন। ফলে আরো ২২টি আসন নিয়ে এখন দর কষাকষি চলছে।

এদিকে ২২ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মঞ্জু হত্যার মামলার রায়। বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২৪ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। মাত্র দুদিন সময় হাতে রেখে মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করায় ক্ষুব্ধ সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বিষয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ঠান্ডা মাথায় এরশাদকে ২২ জানুয়ারির মামলা নিয়ে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আবার এরশাদও মামলা সর্ম্পকে সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান। মামলার রায় নিয়ে কোনো নাটক না হওয়ার গ্যারান্টি চান এরশাদ। গ্যারান্টি পেলেই তিনি সরকারের সঙ্গে থাকবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ২২ বছর পর জাতীয় পার্টির নেতারা জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি চড়ার সুযোগ পেয়েছেন। তারাও বেকে বসেছেন মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। তাদের সঙ্গেও এরাশাদের দূরত্ব বেড়েছে। জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরাও সরকারের কাছ থেকে দলের চেয়ারম্যানের দাবি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্ট পার্কে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সরকারের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আলোচনা চলছে। তবে ২২ আসন ও ২২ জানুয়ারির রায় সর্ম্পকে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এমএআর/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৩)