চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়।
চুয়াডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মালিক জানান, ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা ২৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে।
ওই দিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজটি পাকবাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুশ শুকুর বাঙালী বলেন, চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ৪২ বছর। অথচ, মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত চুয়াডাঙ্গায় কোনো স্মৃতিসৌধ নেই। ১৯৯৪ সালে শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও তা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে ২০০১ সালে ভেঙে ফেলা হয়। আবারো জোর করে অবৈধ স্থানেই নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ।
চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মালিক জানান, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে পৃথকভাবে পতাকা উত্তোলন, শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চুয়াডাঙ্গার নাটুদহে শহীদ ৮ মুক্তিযোদ্ধার কবরের পাশের বেদিতে আলোচনা সভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরআর/এস/এএস/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩)