‘মিথ্যা জন্মদিন পালন করবেন না’
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি সেদিন যখন কেকে ছুরি চালান, তখন মনে হয় আমার বুকে ছুরি চালাচ্ছে। আমার প্রিয় রাসেলের মুখটা আমার সামনে ভেসে ওঠে। মনে হয়, রাসেলের হত্যার দিনে উনি কীভাবে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন! মিথ্যা উৎসব করেন! আমি উনাকে অনুরোধ করব, উনি যেন এই মিথ্যা উৎসব বন্ধ করেন।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে খুন হন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেল। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় তারা বেঁচে যান।
আর ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই রাসেল, যাকে শিশু বয়সেই ঘাতকের বুলেটে প্রাণ দিতে হয়। মায়ের কাছে নেওয়ার কথা বলে বাড়ির দোতলায় নিয়ে তাকে গুলি করে সেনাসদস্যরা।
সেই ঘটনা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে ফুলটা ফোটার আগেই ঝরে গেছে। বাংলাদেশে এই ঘটনা যেন আর না ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘রাসেল ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মায়ের সঙ্গে বন্দি হয়েছিল সে। রাসেলের স্বপ্ন ছিল সেনা কর্মকর্তা হবে। তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। যে মুহূর্তে ওর জন্ম হয় আমি তাকে কোলে তুলে নেই। মাথাভরা চুল, ফুটফুটে শিশু। এ ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটুক তা চাই না। সন্ত্রাস চাই না। আমরা প্রতিটি শিশুর নিরাপদ জীবন চাই।’
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দাবা, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং এসএসসি পরীক্ষায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারাকত, সংগঠনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কেএম শহিদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান, সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান হাওলাদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
শিশু-কিশোরদের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয় খাদিজা আক্তার।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এসএস/এমডি/অক্টোবর ২৩, ২০১৩)