সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাতক্ষীরা মুক্ত করে বাংলার অকুতোভয় বাংলার দামাল ছেলেরা।

গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে শনিবার পালিত হয়েছে দিবসটি।

এ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জাসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠণ সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

দুপুর ১২টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার এনামুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়না, মোস্তাক আহম্মেদ রবি, অ্যাডভোকেট মোস্তফা নূরুল আলম, অনিল ব্যানার্জী, জেলা জাসদের সভাপতি কাজী রিয়াজ, সুভাষ সরকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি আবারো মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে না পেরে গণতন্ত্রকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে অবরোধ ও হরতালের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে’।

বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিএনপিও। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করে যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে মুক্ত করতে চায়। তাদের সে চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপোসহীন আন্দোলন করতে হবে’।

(দ্য রিপোর্ট/আরকে/এস/এসবি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩)