দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এবার কানাডা থেকে এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার আমদানি করবে সরকার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সরাসরি এ সার আমদানির জন্য কানাডার সঙ্গে চুক্তি করা হবে। এজন্য চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন নিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উঠছে। শিগগিরই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি কানাডার প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন (সিসিসি) চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে এমওপি সার সরবরাহের প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাবের বিষয়ে কানাডার বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এতে দেখা যায়, কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যা কানাডার প্রতিষ্ঠান ‘কনপোটেক্স’ এর পটাশ সার বাংলাদেশে সরবরাহ করবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৩০ লাখ টন এবং নন-ইউরিয়া সারের চাহিদা ১৫ লাখ টনের মতো।

কৃষি উৎপাদনের জন্য ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সারের একাংশ বিসিআইসি উৎপাদন করে থাকে। অবশিষ্ট ইউরিয়া সার বাংলাদেশ রাসায়ন শিল্প কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এবং নন-ইউরিয়া সার বেসরকারি পর্যায়ে ও বিএডিসির মাধ্যমে আমদানি করা হয় বলে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) গত ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সরাসরি নন-ইউরিয়া সার আমদানি করছে।

এমওপি সার নন-ইউরিয়া সারের পর্যায়ভুক্ত। রাশিয়া এবং বেলারুশ থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে বিএডিসি এমওপি সার আমদানি করছে। বর্তমান সরকারের শুরুতে এমওপি সারের প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০ টাকা। তিন দফা কমানোর পর এখন দাম ১৫ টাকায় এ সার কিনতে পারছে কৃষক।

২৫ হাজার টন ইউরিয়া আমদানি

মংলা বন্দরের মাধ্যমে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে প্রায় ৩০ হাজার ৩৬৫ টাকা। এ সার আমদানির কাজ পাচ্ছে মেসার্স দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ দরপ্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

প্রস্তাব থেকে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সার আমদানির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২৬ নভেম্বর দরপত্র খোলা হয়। চারটি দরপত্র পাওয়া যায়, চারটিই যোগ্য বিবেচিত হয়। এরমধ্যে দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/রা/এসবি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩)