বন্দি বিনিময়ে আর কোন বাধা নেই
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মুশতাক আহমদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ নিজ নিজ সরকারের পক্ষে এ অনুসমর্থন দলিলে স্বাক্ষর ও বিনিময় করেন।
গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়েছিল। সম্প্রতি চুক্তিটি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকার। দলিল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এখন থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে।
দলিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, চুক্তির ফলে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ ও পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করলে এক দেশের অপরাধীরা অন্য দেশে অভয়ারণ্য সৃষ্টি করতে পারবে না।
উপমহাদেশ থেকে অপরাধ দমনে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে যা যা করণীয় তা করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পঙ্কজ শরণ বলেন, চুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমন নিশ্চিত হবে। দুই দেশ এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। এক দেশ আরেক দেশে অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করবে। ফলে দুই দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
চুক্তিটি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন পঙ্কজ শরণ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চুক্তি অনুযায়ী আইনানুগ কর্তৃপক্ষের অনুরোধে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাজার মেয়াদ ন্যূনতম এক বছর পূর্ণ হলে এক দেশ অপর দেশের হাতে তুলে দিতে পারবে।
তবে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বা বন্দিদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যে কেউ ছয় মাসের নোটিসে এ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
এছাড়া কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত বা অভিযুক্তকে স্বল্প সময়ের জন্য সাময়িকভাবে বহির্সমর্পণ করা যাবে। একই ব্যক্তির বিষয়ে একাধিক দেশ থেকে বহির্সমর্পণের অনুরোধ থাকলে সেক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে অনুরোধপ্রাপ্ত দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ থাকবে।
দলিল বিনিময় অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
(দিরিপোর্ট২৪/ওএস/এমএআর/অক্টোবর ২৩, ২০১৩)