দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিন শনিবার সারাদেশে ২১৭ জন নেতাকর্মী আহত ও ১০৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন ৩২৬ জন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে ১২০০টিরও অধিক বলে জানিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ সরকারের নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতনের পরেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের আহ্বানে চলমান শান্তিপূর্ণ তৃতীয় দফা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন স্বতঃস্ফূর্ত ও সাফল্যজনকভাবে পালিত হয়েছে।

এজন্য বিবৃতিতে ১৮-দলীয় জোট নেতা বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেশবাসী এবং বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়।

তৃতীয় দফা অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপি প্রেরিত বিবৃতিতে জানা যায়, কক্সবাজারে অবরোধের সমর্থনে যুবদল একটি মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিল থেকে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, আক্তার হোসেন, মনিরুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম রুবেলসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

রাঙ্গামাটি জেলায় অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলায় বাচ্চু মিয়াসহ ৫ জন আহত, রাজবাড়ি জেলায় যুবদল মিছিল বের করলে বিএনপি নেতা ইসহাক আলী মিয়া, গোয়ালন্দ থানা যুবদল নেতা জামাল, পাংশা উপজেলা যুবদল নেতা মাসুদসহ পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। ভোলায় অবরোধের সমর্থনে যুবদল মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে হামলা চালায়। সেখানে ১০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌর যুবদল সভাপতি আব্দুল মালেক ভূইয়াসহ পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলালের বাড়িতে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তার বড় ভাবীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরে আঘাত করলে সে মারাত্মক আহত হয়। কুমিল্লা দক্ষিণে যুবদলের সভাপতি আমির সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুদ্দিন সহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে পুলিশ মিথ্যা মামলা করে। মেহেরপুরে অবরোধের সমর্থনে যুবদল মিছিল করলে গাংনী পৌর যুবদলের আসাদুল ইসলাম আশা, যুবনেতা বকুলসহ ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

কুড়িগ্রামে যুবদল নেতা নাহিদ, রনি, রানু, চিলমারি থানার যুবদল নেতা পাখি, শিরিন, তাইয়ুবসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে একটি দ্রুত বিচার আইনে পুলিশ মামলা করে। ঢাকায় ওয়ারী থানা মিছিল করার সময় হিরাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ডেমরা থানা যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাকে নির্মম নির্যাতন করে। পরে তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় পুলিশ রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। কদমতলীতে অবরোধের সমর্থনে যুবদল মিছিল করলে যুবদল নেতা সানোয়ারসহ ৩ জনকে পুলিশ গুলি করে।

(দ্য রিপোর্ট/ টিএস-এমএইচ/এমডি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩)