দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ৭ ডিসেম্বর ২০১৩, শনিবার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নাট্যকার নৃপেন বিশ্বাসের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঢাকা এবং তার গ্রামের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার লেকের পাড়া ইউনিয়নে লেকের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, ভুয়াপুর ও ঘাটাইল প্রেসক্লাব এবং ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

নৃপেন বিশ্বাস ১৯৭৮ সালে টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক ‘ঝংকার’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন। একই সময় ‘দৈনিক বাংলার বাণী’র ঘাটাইল প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঘাটাইলের ‘গৌর মুকুল একাডেমী’ নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ‘তারকালোক’ ও ‘কিশোর তারকালোক’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ‘দৈনিক আজকের কাগজ’ পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর পাক্ষিক ‘তারকা বিচিত্রা’য় নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে নৃপেন বিশ্বাস বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্য চর্চায় তাঁর ছিল সমান পারদর্শিতা। তার প্রকাশিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘কিশোরী কিংবা যুবতী’, ‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’, ‘পুরনো সেই দিনের কথা’, ‘ভুল মানুষের ভালবাসা’ অন্যতম। দৈনিক আজকের কাগজের থেকে তিনি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ামুখী হন। নাটক, ম্যাগাজিন ও প্রামাণ্য অনুষ্ঠান সর্বক্ষেত্রেই তিনি সক্রিয় ছিলেন। বিটিভি, এটিএন বাংলা, এনটিভি ও চ্যানেল আই-এ প্রচারিত হয়েছে তার একাধিক অনুষ্ঠান। এর মধ্যে মধ্যে এটিএন বাংলায় প্রচারিত ‘সুতরাং’ ও ‘ময়ুরী চতুরঙ্গ’ ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

মরণঘাতি লিভার সিরোসিস রোগে দীর্ঘদিন ভোগার পর ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে নৃপেন বিশ্বাস মৃত্যুবরণ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এইচএস/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩)