পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ১৬ বছর
নাগরিক সমাজের মানববন্ধন ও গোলটেবিল বৈঠক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ১৬-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও গোলটেবিল বৈঠক করা হয়েছে। এ সময় বক্তারা দাবি করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে অঙ্গীকার করলেও ৫ বছরে তা শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
‘নাগরিক সমাজ’-এর পক্ষ থেকে দুপুর দুইটায় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও পরে ৩টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল বৈঠকে এ অভিযোগ করা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনা করেন- বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হোসেন ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
গোলটেবিল বৈঠকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য দাবি তুলে ধরা হয়। বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রাধিকার দেওয়া, জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব ও অধিকার সংরক্ষণে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সোচ্চার হওয়া, পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, উন্নয়ন, সুশাসনের জন্য মৌলবাদী ও উগ্র-জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানানো হয়।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে পার্বত্য অঞ্চলে ‘অবাস্তবায়িত’ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে অন্যতম- পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ না করা, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন না করা, ভূমিহীন বা দুই একরের কম জমির মালিক পাহাড়ি পরিবারগুলোকে ভূমি বন্দোবস্ত না করা, ৩ শতাধিক অস্থায়ী ক্যাম্প ও ‘অপারেশন উত্তরণ’ প্রত্যাহার না করা, সেটালার বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসন না করা ইত্যাদি।
এ সময় বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি বাস্তবায়ন ছিল সরকারের অঙ্গীকার ও নৈতিক দায়িত্ব।’
মানববন্ধনে সংহতি বক্তব্য রাখেন- প্রকৌশলী সরদার আমীন, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য ও মানবাধিকার কর্মী হানা শামস আহমেদ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড দেখা যায়। যার মধ্যে- ‘পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর’, ‘পাহাড়ের সেনা শাসন বন্ধ কর’, ‘আওয়ার ল্যান্ড আওয়ার লাইফ’ ইত্যাদি অন্যতম।
(দ্য রিপোর্ট/আরএ/আইজেকে/এমডি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩)