পাবনা সংবাদদাতা : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস দখল ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার।

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার অভিযোগ করে দ্য রিপোর্টকে জানান, শনিবার দুপুরে নেতাকর্মীরা বাসায় খেতে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ অফিস খালি ছিল। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বিকেল চারটায় বেশ কিছু লোকজন নিয়ে অফিসে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা অফিস তছনছ করে ও অফিসে থাকা প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ছবি ভাঙচুর করেন। পরে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অফিসে তালা লাগিয়ে চলে যান

দলীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে বিকেল পাঁচটায় পুলিশের সহযোগিতায় অফিসের তালা ভেঙে ভেতরে অফিস তছনছ অবস্থায় দেখতে পান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বিস্ময় প্রকাশ করে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এটা ওদের (টুকুর সমর্থক) নীল নকশা আর পরিকল্পনার অংশ। আমাকে ফাঁসানোর জন্য তারা ভাঙচুর বা তছনছের নাটক সাজিয়েছে।’

আবু সাইয়িদ আরও জানান, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই অফিসটি তার নিজের বাড়ি। তিনি এখনো ওই বাড়ির খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। শনিবার দুপুরে তিনি বাড়ি দেখতে যান। বাড়িতে তার দেওয়া তালা দেখতে না পেয়ে অন্য একটি তালা লাগিয়ে আসেন। অফিসের ভেতরে থাকা কোনো জিনিসে কেউ হাত দেয়নি। তছনছ করা বা ভাঙচুর করার প্রশ্নই আসে না বলে জানান তিনি।

বেড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক দ্য রিপোর্টকে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অফিস তছনছ অবস্থায় দেখতে পায়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

শনিবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাবনা পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া উপজেলা ও বেড়া উপজেলার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। অপরদিকে একই আসন থেকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এমএইচও/এনডিএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)