ঝিনাইদহে ফুল ও পান চাষিরা বিপাকে
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : একের পর এক টানা অবরোধে বিপাকে পড়েছেন ঝিনাইদহের কয়েক হাজার ফুল ও পান চাষি।
প্রতিদিন পান চাষিদের প্রায় ৫০ লাখ ও ফুল চাষিদের প্রায় ২০ লাখ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। ক্রমাগত লোকসান দিয়ে পথে বসতে চলেছেন জেলার পান ও ফুল চাষিরা।
ঝিনাইদহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মনিরুজ্জামান দ্য রিপোর্টকে জানান, জেলায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। প্রতিদিন এই জেলা থেকে ৫০ লাখ টাকার পান দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে পান চালান করা যাচ্ছে না।
পান চাষি হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদহ গ্রামের সেলিম রেজা দ্য রিপোর্টকে জানান, উপজেলার ভবানীপুর, আমেরচারা ও জোড়াদহ বাজার থেকে প্রতিদিন সাত থেকে দশ ট্রাক পান দেশের বিভিন্নস্থানে চালান হয়।
তিনি আরো জানান, অবরোধের কারণে পান চাষি ও ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার লোকসান হচ্ছে।
পান ব্যবসায়ী রইচ উদ্দীন দ্য রিপোর্টকে জানান, ঝিনাইদহের পান শুধু বাংলাদেশে নয়, এর কদর লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও রয়েছে। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে যে লোকসান হচ্ছে, তাতে আমরা পথে বসতে চলেছি।
এদিকে ঝিনাইদহের ফুল চাষিরাও অবরোধের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন।
ঝিনাইদহ শহরের ফুল ব্যবসায়ী জমির উদ্দীন জানান, ফুল এমনই একটি কৃষিপণ্য যা জমিতে রাখা যায় না। প্রতিদিন তুলে বিক্রি করতে হয়। আবার এ ফুল সংরক্ষণেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জয়নাল আবেদীন দ্য রিপোর্টকে জানান, ঝিনাইদহ জেলায় ১৭০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ঝিনাইদহ থেকে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যাববাহনে ফুল ঢাকা ও চট্রগ্রামে যায়। কিন্তু টানা অবরোধে ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন লোকসান দিচ্ছে।
জেলার ব্যাপারীপাড়ার ফুল ব্যবসায়ী বিপ্লব দ্য রিপোর্টকে জানান, রফতানির অভাবে প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ টাকার ফুল নষ্ট হচ্ছে।
অন্য এক ফুল চাষি আবদুর রাজ্জাক দ্য রিপোর্টকে জানান, এক ঝোপা গাঁদা ফুল দেড় থেকে দুইশ’ টাকা দরে বিক্রি হয়। কিন্তু অবরোধের কারণে ক্রেতা মিলে না। তাই প্রতিদিনই লোকসান দিতে হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ/এমএইচও/এস/জেএম/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)