চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ আর ছাত্রদলের ডাকা হরতালে অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম। নগরীর দোকানপাট, স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে। শিবিরের মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নগরীর একে খান এলাকায় কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।  রবিবার সকালে এসব ঘটনা ঘটে।

নাসিরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ওসমান গনি জানান, সকাল ৮টার দিকে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি থেকে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। মিছিল থেকে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মোহাম্মদ ফারুক দ্য রিপোর্টকে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নগরীর এ কে খান এলাকায় কয়েকটি সিএনজি ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা।

পটিয়া থেকে হেঁটে নগরীতে আসা মফিজউদ্দিন সরকার দ্য রিপোর্টকে বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে কোনো গাড়ি নগরীতে আসছে না। তাই জরুরি কাজে ১০ কিলোমিটার হেঁটে নগরীতে এসেছি। একই ধরনের কথা বললেন উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আসা আবদুল হাদি। তিনি জানান, হরতাল-অবরোধে গাড়ি না চললেও জীবনের প্রয়োজন থেমে থাকে না। গাড়ি না চলায় রিকশা নিয়ে ভোর ৪টায় রওনা দিয়ে ৮টায় নগরীতে পৌঁছেছি।

অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দরেও কার্যত কোনো কাজ হচ্ছে না। বন্দর সচিব ফরহাদ হোসেন জানান, ভেতরে কন্টেইনার ওঠানাম করলেও বাইরে যাচ্ছে না কোনো কন্টেইনার। নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) বাবুল আক্তার দ্য রিপোর্টকে জানান, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকাল থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার চট্টগ্রাম জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ছাত্রদল।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধরণ সম্পাদক গাজী সিরাজ জানান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও গ্রেফতারসহ আটককৃত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নগর, উত্তর, দক্ষিণ জেলা ও বিশ্ববিদ্যায় ছাত্রদল এই হরতাল আহ্বান করেছে।

নগর ছাত্রদলের সভাপতি কাজী সিরাজ উল্লাহ জানান, স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল চলছে। নগরীতে হরতালের সমর্থনে ছাত্রদল মিছিল-সমাবেশ করছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচসি/এফএস/এস/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)