কালকিনি মুক্ত দিবস ৮ ডিসেম্বর
মাদারীপুর সংবাদদাতা : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা মুক্ত দিবস ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে কালকিনি উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। এ দিন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণে কালকিনি ছেড়ে পালিয়ে যায় পাক হানাদার বাহিনী।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটায় ক্যাম্প করে পাক হানাদার বাহিনী। তারা ফাঁসিয়াতলা বাজারে রাজাকারদের সহযোগিতায় অতর্কিত হামলা চালায়। এখানে শতাধিক মানুষকে হত্যা করে পুরো বন্দর জ্বালিয়ে দেয় হানাদার বাহিনী।
এ ছাড়া ভূরঘাটার পাশে একটি ব্রিজের কাছে মানুষ ধরে এনে ধারালো কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিত পাক হানাদার বাহিনী। নদীর পানি মানুষের রক্তে লাল হয়ে থাকায় পরবর্তী সময়ে ওই ব্রিজের নাম হয় লালপোল বা লালব্রিজ।
পরে ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা সংঘটিত হতে থাকে। কালকিনি উপজেলার পাঁচজন কমান্ডার এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযোদ্ধারা কালকিনি উপজেলার সিডিখান, এনায়েতনগর, সমিতিরহাট ছাড়াও পাশের বরিশালের গৌরনদী, মুলাদী ও কালকিনির সীমান্তবর্তী তিনটি স্থানে মুখোমুখি যুদ্ধে পাকবাহিনীকে পরাস্ত করেন। অবশেষে ৮ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় কালকিনি।
কালকিনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এসকান্দার আলী সিকদার জানান, সরকারিভাবে ৮ ডিসেম্বরকে কালকিনি মুক্ত দিবস ঘোষাণা করা হয়নি। স্বাধীনতার ৪২ বছরেও সরকারিভাবে বা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে কালকিনি মুক্ত দিবস পালন করার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়নি। কালকিনি উপজেলার শহীদদের জন্য কোনো স্মৃতিস্তম্ভ বা নিদর্শনও স্থাপন করা হয়নি।
ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারাসহ সরকারের সহযোগিতা চান বলে জানান তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এস/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)