দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের নয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ জিজ্ঞাসাবাদ পর্যায়ক্রমে বিকেল পর্যন্ত চলবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের জিএম শাখার জিএম ননী গোপাল নাথ, জিএম সবিতা সিরাজ, এজিএম আশরাফ আলী পাটোয়ারী, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান, জিএম আ ন ম মাসরুরুল হুদা সিরাজী, এজিএম মো. সাইফুল হাসান, ইও মো. আব্দুল মতিন, ডিজিএম কানিজ ফাতেমা চৌধুরী এবং এজিএম মো. খুরশীদ আলম। ব্যাংক কর্মকর্তারা সবাই হলমার্কের ঋণ কেলেঙ্কারিতে দুদকের দায়ের করা মামলার আসামি।

হলমার্ক কেলেঙ্কারির দায়ে মোট ৩৮টি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক হোটেল রূপসী বাংলা শাখা থেকে মোট ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে হলমার্কে সহযোগী পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ২৭টি মামলা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি বর্তমানে দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে। যেখানে গত ৭ অক্টোবর ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের দায়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ টিমের অন্যরা হলেন- উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা, সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, মোছা. সেলিনা আক্তার মনি, মো. নাজমুচ্ছায়াদাত, উপ-সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এস/জেএম/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)