অর্থনীতি বেশ কষ্টে আছে : অর্থমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিরোধী দলের অবরোধে দেশের ‘অর্থনীতি বেশ কষ্টে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুবই উদ্বিগ্ন দেশের জন্য। অর্থনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড নেই, কোনো উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না, মানুষেরও যাওয়া-আসা নেই।’
এসব কিছুর জন্য বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে দেশের জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম জিয়ার উপহার।’
মানুষ পোড়ানো, গাড়ি পোড়ানো, সম্পদ পোড়ানো এগুলো বিএনপি ও জামায়াতের কালচার উল্লেখ করে মুহিত বলেন, ‘মানুষকে পুড়িয়ে মারার যে কালচার খালেদা জিয়া সৃষ্টি করে যাচ্ছেন- এটা জনগণ সহ্য করবে না। এটা সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক যেসব প্রজেকশন, সেগুলো কোথায় যে যাবে- বলা কঠিন। কতোদিন এই অমানুষিক কর্মকাণ্ড ও দেশদ্রোহিতা চলে এর ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ।’
হরতাল-অবরোধের কারণে বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা কমে যাওয়ার আশঙ্কা এবং বাজেটের আকার কমিয়ে আনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে না, তবে গতি কমে যাবে। অন্যদিকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সব থেমে থাকায় বাজেটের আকারও কমে যাবে।’
হরতাল-অবরোধ এসব সন্ত্রাসীদের ভাষা এবং আইন করে হরতাল বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে আবারও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
বিএনপি হরতাল করলে সেটা সন্ত্রাসীদের ভাষা, আর আওয়ামী লীগ করলে সেটা গণতন্ত্রের ভাষা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও এটা অ্যাবসুলিউটলি বিএনপির কালচার। আগেও এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের শাস্তি কার্যকর করার সময় ঘনিয়ে আসায় তারা এখন মরণ কামড় দিচ্ছে। আর দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া এখন জামায়াতের আমীর হয়ে গেছেন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে এর জন্যে রাজনীতিকদের দায়ী করে থাকেন। সব রাজনীতিবিদরা দুষ্টু- এটা সঠিক নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে বলা যেতে পারে, কিন্তু দুজন সমান সমান- এই স্কেলে বসানো উচিত নয়।’
বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে- জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘কী করা যায় সেটা সরকারও চিন্তা করছে। যেহেতু সামনে নির্বাচন, এখানে রাজনীতি জড়িত, তাই সরকার এখনো নমনীয় রয়েছে। কিন্তু এটা কতোদিন ধরে রাখা যাবে সেটা বলা যাচ্ছে না।’
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/হা/জেএম/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)