দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নির্বাচনের তফসিল পেছানো হলে আওয়ামী লীগের আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভা শেষে রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

নির্বাচনের তফসিল পেছানোর বিষয়টিকে সরকার কিভাবে দেখবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের তো আপত্তি থাকার কথা নয়। আমরা মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় তিন দিন বাড়ানোর কথা বলেছিলাম নির্বাচন কমিশনকে। আমাদের সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও একমত হয়েছিল। তারা (নির্বাচন কমিশন) তা করেননি। এটা আমাদের ব্যাপার না। আমরাও বলেছিলাম কিন্তু হয়নি।

বর্তমানে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা বলেছেন। গত ২৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, সমঝোতার চেষ্টা আমরা করছি, বিদেশিরা করছে। সমঝোতা হলে ভালো। আমার মনে হয় সমঝোতাটা হতে পারে রাজনৈতিক। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর বিষয়ে কোন সমঝোতা হতে পারে বলে আমি মনে করি না।

সমঝোতা হলে কি নির্বাচনী তফসিল পেছানো সম্ভব- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সিডিউলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের, এটা সরকারের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে সাংবিধানিক কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বারবার বলেছেন। সেটা উত্তরণের কোন পন্থা তাদের কাছে আছে কিনা, সেটা তারা নির্ধারণ করবেন।

তবে কি বিএনপির এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আমি এখন বলতে পারব না।’

বিএনপির পর জাতীয় পার্টি নির্বাচন না করলে আওয়ামী লীগ কি একদলীয় নির্বাচন করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোন দল এলো না এলো, এটা ব্যাপার নয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলবে, চলতে থাকবে। এখানে জনগণের পার্টিসিপেশন (অংশগ্রহণ) হলো ব্যাপার।

তিনি আরো বলেন, এটা একদলীয় নয়, নির্বাচনে আরো অনেক দল অংশগ্রহণ করছে। যেগুলো আমাদের মহাজোটের পার্ট নয়। যে কয়টা দল আসে আসুক না, নির্বাচন হবে যথাসময়েই।

তিনি বলেন, আমরা যখন বিএনপিকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলাম তখন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানের পথ বের করা যেত। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে নির্বাচনে আসার বিএনপির কতটুকু সুযোগ রয়েছে, তার ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না।

এতে সংঘাত আরো বাড়বে কিনা- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেখা যাক, এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বুঝবে।

বিরোধী দল যে আন্দোলন করছে তা গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয় জানিয়ে আমু বলেন, ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে এর তুলনা চলে। অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতেই এ আন্দোলন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এস/জেএম/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)