দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘শুধু স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিই নয়, আমাদের অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ’- রবিবার গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করার ঘটনা অবিলম্বে তদন্ত করতে হবে। গাজীপুর কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চলে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া আমদের জাতীয় অর্থনীতির উপর এক চরম আঘাত। এসব ধ্বংসাত্মক কাজ কে করেছে, তা দেশের জনগণ জানতে চায়।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক আজ কর্মহীন হয়েছে। রপ্তানির জন্য প্রস্তুত বিপুল পরিমাণ তৈরি পোষাক ও মেশিনপত্র পুড়িয়ে দেওয়ায় ফ্যাক্টরি মালিকের কয়েক শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে আমাদের রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের আন্তর্জাতিক সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিকে রক্ষা ও বিকাশের স্বার্থে সকল প্রকার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য আমরা বার বার দাবি করে আসছি। কিন্তু কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। তাই অবিলম্বে কার্যকর তদন্তের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগিয়ে যারা ধ্বংস করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত দায়ি ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

বাংলাদেশের সংবিধানের এ প্রণেতা বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা ত্যাগ করতে হবে এবং এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে দায়ি ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হলে জনগণ তা কখনই মেনে নেবে না।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা জোর দাবি করছি যে, অবিলম্বে কার্যকর তদন্ত করা হোক এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক। যেন সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার লক্ষে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এমসি/এমডি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)