১৬ কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অস্বাভাবিকহারে শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়া ১৬ কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) দাখিল করা হয়েছে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে কমিশন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
১৬ কোম্পানির মধ্যে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে ১২টি ও বিএসইসি থেকে ৪টি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে এ সব কোম্পানির দর বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ যেসব কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সেগুলো হলো- লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, দেশ গার্মেন্টস, বিডি অটোকারস, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রহিমা ফুড, মডার্ন ডাইং, মুন্নু স্টাফালারস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার, ইনটেক অনলাইন ও আলহাজ্জ্ব টেক্সটাইল।
বিএসইসি কর্তৃপক্ষ যেসব কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সেগুলো হলো- মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড এবং বঙ্গজ লিমিটেড।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসির ৪৯৪তম কমিশন সভায় ১২টি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এজন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার দুই মাস পর ডিএসই কর্তৃপক্ষ তা বিএসইসিতে জমা দেয়।
একইভাবে গত ২৭ আগস্ট বিএসইসির ৪৯০তম কমিশন সভায় চার কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকহারে বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। এ কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির উপ-পরিচালক শামসুর রহমান ও সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ রাকিবুর রহমান। কিন্তু গঠিত তদন্ত কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ নভেম্বর আরও ১৫ দিন সময় বাড়ায় বিএসইসি। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনের কর্মকর্তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ডিএসইর তদন্ত করা ১২টি কোম্পানির বিষয়ে বিএসইসির অভিমত, এ সকল কোম্পানির শেয়ারের দর ৫০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যা বিএসইসির সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারে ধরা পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইভাবে ৪টি কোম্পানির বিষয়ে বলা হয়, এ সকল কোম্পানির শেয়ার দরের আকস্মিক উল্লম্ফন নিয়ন্ত্রক সংস্থার ইন্সষ্ট্যান্ট ওয়াচ মার্কেট সার্ভিলেন্স সিস্টেমে ধরা পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অস্বাভাবিকহারে দর বৃদ্ধির কারণ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ডিএসই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১২টির মধ্যে ৪টি কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করে। বাকি ৮টির তদন্ত প্রতিবেদন ওই মাসের শেষ সপ্তাহে দাখিল করা হয়। এসব কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদনে কিছু অসঙ্গতি থাকতে পারে।’
বিএসইসির পক্ষ থেকে তদন্ত করা ৪টি কোম্পানির প্রতিবেদনে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে এনর্ফোসমেন্ট অ্যাকশন না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।’
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এইচকে/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩)